top of page

ব্লগ রচনা 


পিঙ্গলা পাণ্ডে ভট্টাচার্য




“... একটি ছেলেকে দেখার জন্যে রেল স্টেশনে ভিড় জমে যায়। ১৮ অথবা ১৯ বছরের এক কিশোর, অথচ তাঁকে রীতিমতো দৃঢ় দেখাচ্ছিল। বাইরে তার জন্যেই রাখা এক চারচাকার খোলা গাড়ি। প্রথম শ্রেণীর এক রেল কামরা থেকে বেরিয়ে সে হেঁটে আসছিল। এক উৎফুল্ল কিশোরের মতো - যে কোনো উদ্বেগ জানেনা....

গাড়িতে নির্দিষ্ট আসনে বসার সময় ছেলেটা চিৎকার করে বলে উঠল 'বন্দেমাতরম্'।"

- 'দ্য স্টেটসম্যান', ২ মে- ১৯০৮।

কোলকাতা - ১৯০৮। মিঃ কিংসফোর্ড আলিপুর প্রেসিডেন্সি বিচারালয়ের মুখ্য হাকিম। তার এজলাসে চলছে ‘যুগান্তর মামলা’। আসামী যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত এবং অন্যান্য সংবাদপত্র লেখকরা। বিচারে সম্পাদক ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের কঠিন সাজা হয়। সরকারের বিচার ব্যাবস্থা নিয়ে বিরুদ্ধ মত লেখার জন্য আরো পাঁচজনকে অভিযুক্ত করেন কিংসফোর্ড।


বিরাট আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় 'যুগান্তর' পত্রিকা। 'অনুশীলন সমিতি' ও তার জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী আদর্শ প্রচারের প্রধান হাতিয়ার ছিল এই সংবাদপত্র। কিংসফোর্ড সাহেব শুধু মাত্র মিথ্যা বিচারে সাজা শুনিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন না, এই মামলার বিরুদ্ধে প্রচারে অংশ নেওয়ায়, বিপ্লবীদের প্রকাশ্যে চাবুক মারা হয়েছিল। আলিপুর প্রেসিডেন্সি আদালতে মুখ্য হাকিম হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে অশালীন এবং সন্মানহানীকর মন্তব্য করতেন কিংসফোর্ড। তিনি মিথ্যে বিচারে বিপ্লবী আর তাদের সহকারীদের শারীরিক নির্যাতনের সাজা ঘোষণা করতেন। 'অনুশীলন সমিতি' বাধ্য হয়ে কিংসফোর্ডকে মারার পরিকল্পনা করে। হেমচন্দ্র দাস কানুনগো এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বোমা বানানোর।


১৯০২ সালে শ্রী অরবিন্দ এবং সিস্টার-নিবেদিতা মেদিনীপুর ভ্রমণ করেন। তাঁরা স্বাধীনতার জন্যে জনসমক্ষে ধারাবাহিক বক্তব্য রাখেন এবং বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গোপন অধিবেশন করেন। খুব ছোট বয়সেই তমলুকের এই রকম এক জনসভাতে ক্ষুদিরাম বসুর বিপ্লবী সত্ত্বার প্রকাশ ঘটে। কিশোর ছাত্র ক্ষুদিরাম, এই সমস্ত বিপ্লবী আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে থাকেন। সত্যেন্দ্রনাথ বসুর শিক্ষা এবং শ্রীমদ্ভগবদগীতার পাঠ, ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লব করতে তাঁকে অনুপ্রাণিত করে।১৯০৪ সালে তিনি তমলুক থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য মেদিনীপুরে চলে আসেন। মেদিনীপুরেই ক্ষুদিরামের সক্রিয় বিপ্লবী জীবনের অভিষেক। ‘অনুশীলন সমিতি’ তে যোগদান করলেন ক্ষুদিরাম।


১৯০৮ সালের মার্চ মাসে নিরাপত্তার প্রয়োজনে কিংসফোর্ডের পদোন্নতি করে, ব্রিটিশ সরকার তাকে বিহারের মুজাফফরপুর জেলার বিচারপতি করে বদলি করেন। অন্যদিকে কিংসফোর্ডকে শাস্তি দেবার অনুশীলন সমিতির বিপ্লবীদের যে পূর্বপরিকল্পনা, তার দায়িত্ব পড়লো প্রফুল্ল চাকীর উপরে। হেমচন্দ্রের বানানো বোমা নিয়ে মুজাফফরপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত হল। প্রফুল্ল চাকী সঙ্গে নিয়ে এলেন একজন নতুন ছেলেকে। নাম ক্ষুদিরাম বসু।

২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুজাফফরপুর ব্রিটিশ ক্লাবের পাশে অপেক্ষাতে দুই বিপ্লবী, হাতে ডিনামাইট দিয়ে তৈরি শক্তিশালী সেই বোমা। রাত্রি সাড়ে আট টা নাগাদ কিংসফোর্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। দুর্ভাগ্য, গাড়িতে কিংসফোর্ডের বদলে ছিল অন্য একজন ব্রিটিশ ব্যারিস্টারের মেয়ে এবং স্ত্রী। দুজনেরই মৃত্যু হয়। মোকামাঘাট রেল স্টেশনে প্রফুল্ল চাকী ধরা পরলে নিজের রিভলভার থেকে গুলি করে মৃত্যু বরণ করেন। ওয়াইনি নামে এক স্টেশনে ধরা পরেন ক্ষুদিরাম। ১৯০৮ - এর ২১ মে , আলিপুর বোমা মামলা শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয় ক্ষুদিরাম বসু কে।


শুধু এখানেই শেষ নয়। পরবর্তীতে মুরারিপুকুরের বাগানবাড়ি তল্লাশী করে পুলিশ বোমার কারখানা আবিষ্কার করে। অরবিন্দ ঘোষ, হেমচন্দ্র সহ প্রায় ৩৭ জন বিপ্লবী ধরা পরেন। প্রায় এক বছর ধরে বিনা প্রমাণে বন্দী করে রেখে বিচার চালিয়ে যাওয়া হয়। মামলা তে যাবজ্জীবন সহ দ্বীপান্তরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে প্রত্যক্ষ ভাবে নেতৃত্ব দেওয়া বাঙালি বিপ্লবীদের ধরে রেখে ব্রিটিশ সরকার এই ভাবে, বিপ্লবী কর্মকাণ্ডকে কঠোর হাতে দমন করতে চেয়েছিল।


ফাঁসি হওয়ার সময় ক্ষুদিরামের বয়স ছিল ১৮ বছর, ৭ মাস এবং ১১ দিন, যেটা তাকে ভারতের কনিষ্ঠতম বিপ্লবীর অভিধা দিয়েছিল। ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে নতুন একটি অভিমুখ তৈরি করল। এই ঘটনা শুধু মাত্র কোলকাতা বা বঙ্গদেশে নয়, সারা ভারতবর্ষে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। নতুন করে সারা ভারতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সহিংস আন্দোলনকে সংগঠিত করার ক্ষেত্র বিস্তার করেছিল এবং অত্যাচারিত ভারতীয়দের ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনমুখী করে তুলল। যদিও মহাত্মা গান্ধী ক্ষুদিরামকে সর্মথন করেননি, তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে এই হিংসাকে নিন্দা করেন। তার এই বৈপরীত্যকে বহু বিপ্লবীরা ভালো করে নেন নি। এক সময় সারা ভারতে ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে সহিংস আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বাল গঙ্গাধর তিলক, তার সংবাদপত্র ‘কেশরীতে’ যুবক ক্ষুদিরাম বসু আর প্রফুল্ল চাকীর আন্দোলনের অভিমুখকে সমর্থন করে অবিলম্বে 'পূর্ণ স্বরাজের' দাবী তোলেন।


ভারতের স্বাধীনতার আন্দলনে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। অহিংস আন্দলোনের পাশাপাশি, সহিংস সশস্ত্র বিপ্লবও যে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি অন্যতম পথ হতে পারে তা ক্ষুদিরাম তথা প্রফুল্ল চাকীরাই দেখিয়ে দিয়ে গেলেন ভারতবাসীকে। আর সেই পথে পরবর্তীতে ভগত সিং, রাজগুরু, আজাদ দের আত্মপ্রকাশ। এইভাবেই ক্ষুদিরাম হয়ে গেলেন চরমপন্থী স্বাধীনতা আন্দোলনের পথিকৃৎ।

অমর হয়ে গেলেন সর্বকনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসু।


১১ই আগস্ট, ১৯০৮ সাল – এই দিনেই ফাঁসির মঞ্চে হাসতে হাসতে প্রাণ দিয়েছিলেন শহীদ ক্ষুদিরাম।

শহীদ ক্ষুদিরাম 'অমর রহে'।

  • Writer: ইত্যাদি ব্লগ
    ইত্যাদি ব্লগ
  • Jul 5, 2020
  • 3 min read

Updated: Aug 11, 2020

পিঙ্গলা পাণ্ডে ভট্টাচার্য




'বাঙালির হিয়া অমিয় মথিয়া নিমাই ধরিল কায়া'

ষোড়শ শতকের বাংলার নবজাগরণের পুরোধা শ্রী চৈতন্যদেব, এমন একজন বাক্তি-আধ্যাত্বিকতার মোড়কে যার ব্যাক্তিগত জীবন ও কর্মকাণ্ড অনেকটাই ঢাকা পরেছে। দেশ বিদেশের রেনেসাঁস তথা নবজাগরণ নিয়ে আমরা অনেক মাতামাতি করি। এখানে আমার এই ছোট্ট বাংলাদেশের নবজাগরণের পথিকৃৎ যিনি, স্বল্প পরিসরে তাঁরই জীবন ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করব।

শ্রী চৈতন্যদেব শুধুমাত্র যুগাবতার বা বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক নন। তিনিই প্রথম বাঙালিকে মানাবপ্রেমে দীক্ষিত করলেন। উচ্চ নীচ জাতিভেদ ভুলে শোনালেন সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বানী। অচ্ছুত অপাংক্তেয়কে বুকে টেনে নিলেন। ষোড়শ শতকের দ্বিধা বিভক্ত বাঙালিকে নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন, ক্ষয়িষ্ণু ভাসমান বাঙালির চৈতন্যদয় ঘটালেন। শুরু হল 'চৈতন্য রেনেসাঁস'। যা বাঙালি চিরকাল স্মরণে রাখবে।


আনুমানিক ১২০৩ সাল। তুর্কী সম্রাট বখতিয়ার খিলজি বাংলাদেশের শাসন কর্তা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে নবদ্বীপ তথা বাংলাদেশ অধিকার করেন। শুরু হয় বাংলাদেশে তুর্কী শাসন। সেই সঙ্গে শুরু হয় ব্যাপক অরাজকতার – ধ্বংস হয় শিক্ষা সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র, চলে নরহত্যা, ধর্মান্তকরন।

এই ধর্মান্তর যে সব ক্ষেত্রেই জোরপূর্বক হয়েছিল তা নয়। হিন্দু সমাজের ছুৎমার্গ অস্পৃশ্যতা সেই সময়ে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তার উপর ছিল বর্ণভেদ প্রথা। সেই সময় সমাজের অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের কোন সামাজিক কাজকর্মের অধিকার ছিল না। একই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত হলেও, যাবতীয় ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম থেকে তারা ছিল বঞ্চিত। সেই সময় নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের পূজাঅর্চনা বা শাস্ত্রপাঠেও কোন অধিকার ছিলনা। ফলে হিন্দু ধর্মের যাবতীয় সদর্থক দিকগুলো ছিল উচ্চবর্ণের জন্য, আর যার ফল ছিল সমাজের জন্য চূড়ান্ত নঞর্থক। নিম্নবর্ণের হিন্দুরা সমাজের উচ্চ আদর্শের সাথে পরিচিত ছিল না। ফলে তারা নানা প্রকার নীচ কর্মের সাথে যুক্ত হয়ে সমাজকে কলুষিত করছিল। যার ফলে সমাজের উচ্চবর্ণের, তাদের প্রতি অবজ্ঞা আরও বৃদ্ধি পেল। আর অবজ্ঞাই নিম্নবর্ণের হিন্দুদের নিজধর্মের প্রতি আস্থাহীন ও বীতশ্রদ্ধ করে তুলল।

অন্যদিকে, অপেক্ষাকৃত উদার মনোভাব আর নানা প্রকার প্রলোভন নিম্নবর্ণের হিন্দুদের অন্য ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করল ও তারা ধর্মান্তরিত হল ।


ঠিক এই সময়, এই তমসাচ্ছন্ন বাংলাদেশে আবির্ভাব শ্রী চৈতন্যদেবের। জাতির চরম দুর্দিনে তিনি বিপর্যস্ত বাঙালিকে আলিঙ্গন করলেন। নবদ্বীপের শচীমাতার এই প্রবল দুরন্ত ছেলেটি অস্পৃশ্যতা ভেদে দ্বিধা বিভক্ত দুর্বল বাঙালিকে সংগঠিত করলেন এবং তুর্কী শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মূলমন্ত্রটি শিখিয়ে দিলেন।

চৈতন্যদেব অবতার ছিলেন না, তাঁর কর্মই তাঁকে অবতার রূপে চিহ্নিত করল। তিনি যে শুধু হিন্দু সমাজের বর্ণভেদ প্রথা দূর করলেন তা নয়, তিনি যে মানব প্রেমের মন্ত্রে বাঙালিকে দীক্ষিত করলেন তা তুর্কী শাসকদেরও ছুঁয়ে গেল। চৈতন্য রেনেসাঁস যে কতখানি সুদূরপ্রসারী ছিল, ইতিহাসে তার প্রচুর প্রমাণ মেলে। চৈতন্যদেবের সময়ে তুর্কি সম্রাট হুসেন শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় ভাগবতের অনুবাদ হয়। শোনা যায় সম্রাট নাকি নিয়মিত রামায়ণ, মহাভারতের পাঠ শুনতেন। অর্থাৎ মহাপ্রভুর মানব প্রেমের বানী হিন্দু সমাজের শুদ্ধিকরণের সাথে সাথে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির বন্ধনটিও সুদৃঢ় করল।


শ্রী চৈতন্যদেব জন্মেছিলেন ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে। আজ তাঁর জন্মের ৫৩৪ বছর পরে নতুন করে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা আরও বেশী স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ধর্মান্ধতা, পরধর্ম বিদ্বেষ আজ আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে। এই ধর্মভেদ জাতি বিদ্বেষ আমাদের দুর্বল করে দেবে। আর তা বহিঃশত্রুর দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে না। ইতিহাসে তার সাক্ষ্য মেলে।

আমাদের এই ধর্মীয় অসম্প্রীতি ঠিক এইভাবে দৃষ্টি এড়াইনি ইংরেজদেরও। এই বিভেদের রন্ধ্রপথেই ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের ভারত বিভাগের পরিকল্পনা, যা সাময়িক ভাবে রদ করা গেলেও শেষ পর্যন্ত ভারত ভাগ বন্ধ করা যায়নি। যার ফলশ্রুতি আজও দুঃস্বপ্নের মত আমাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে।


সুতরাং ধর্মের মেরুকরণ ও সর্বভারতীয় স্তরে ধর্মের রাজনীতিকরণ বন্ধ করতে হবে। আর এখানেই শ্রী চৈতন্য দেবের মতামত ও তাঁর দেখান দিশা নতুন করে আমাদেরকে পথ দেখাবে। আর তাই ‘কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী’ ও ‘রামনবমী’ পালনের পাশাপাশি চৈতন্যদেবের জন্মতিথিও একটি উৎসব হিসেবে পালন করতে হবে। চৈতন্যদেবের আদর্শ, তাঁর বানী জনমানসে প্রচার করতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে সাম্প্রদায়িক বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে।

এঁর জন্য আমাদের দেশের শাসকগোষ্ঠীকে আরও বেশি তৎপর হয়ে ধর্মীয় উদারনীতির প্রচার করে, জনমানসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারণা বিস্তার করতে হবে। আর তখনই আমরা সকল ভারাতবাসী জাতিধর্ম – বর্ণ নির্বিশেষে আরো বেশী শক্তিশালী জাতিরুপে প্রতিষ্ঠা পাব।


আর তবেই হবে ভারাতবাসীর প্রকৃত চৈতন্যোদয়।।


  • Facebook
  • Twitter

ইত্যাদি ব্লগ 

© 2023 by Ityadi.org

Proudly created with Wix.com

এই ব্লগ সাইট এর শর্তাবলী (Terms & Condition)

https://bit.ly/3fvaWkU

(এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন) 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন 

Thanks for submitting!

bottom of page